সম্পাদকীয়

পুলিশ পরিচয় দেয়া দুর্বৃত্তদের বিষদাঁত ভেঙে দিতে হবে

| May 19, 2024

সম্পাদকীয়: পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনা জনমনে ভীতির সঞ্চার করে। এমন ঘটনা ইদানিং দুই-একটি ঘটতে শুরু করেছ্ যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ঝাঁপার জোকা গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে মালয়েশিয়া প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

এসময় গ্রামবাসী ও ঝাঁপা ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা ডাকাত দলের সদস্য তহিদুল ইসলামকে (২৯) আটক করেছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৭ মে গভীররাতে জোকা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী হাফিজুর রহমানের বাড়িতে ৫/৭ জনের একদল ডাকাত হানা দেয়। তারা বাড়ির জিআই নেট কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে মই দিয়ে প্রাচীর টপকিয়ে বাকি সদস্যরা প্রবেশ করে। বাড়ির লোকজন ডাকাতের উপস্থিতি দেখতে পেরে চিৎকার শুরু করে। এই সময় ডাকাত দল পুলিশ পরিচয় দিয়ে লোহার গেট খুলতে বাধ্য করে। তারপরও প্রবাসী হাফিজুর রহমানের পিতা তসলিম ব্যাপারী ও স্ত্রী পারুল খাতুন গেট খুলতে রাজি হয়নি। এরপর ডাকাত দল লোহার গেটের তালা ভেঙে তসলিম বেপারী ও পারুল খাতুনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে। ডাকাতরা আলমারি থেকে সোনার গহনা, নগদ ১০ হাজার টাকা, দুইটি মুঠোফোন লুট করে।

তাদের চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে প্রবাসীর বাড়ির সামনে একজনকে দেখতে পান। এসময় তারা ঝাঁপা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। এক পর্যায়ে জনগণ ও পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যেতে থাকে। পুলিশ ও জনগণ তাদের ধাওয়া করে তহিদুল ইসলাম নামে ডাকাত দলের এক সদস্যকে আটক করে।

দুর্বত্তদের এ অপকৌশল শুরুতেই বন্ধ করতে হবে। তাদের মূলোৎপাটন করা না হলে আষ্কারা পাবে। পুলিশ পরিচয়ে নির্বিঘ্নে যদি তারা পার পেয়ে যায় তাহলে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। পুলিশ থাকবে অপরাধের বাইরে অথচ দুর্বৃত্তদের কারণে তাদের ঘাড়ে চাপবে দোষের বোঝা। এমন পরিস্থিতি কাম্য নয়।

স্বাআলো/এস

Debu Mallick