নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যশোর জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে প্রাথমিকভাবে ৩৮ জন নিয়োগ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও পুলিশ সুপার রওনক জাহান চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে যশোর জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। সব ধাপ শেষে একই দিন রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার রওনক জাহান। এসময় তিনি উত্তীর্ণদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
মাত্র ১২০ টাকার সরকারি ফি দিয়ে পুলিশে চাকরি পেয়ে এবং পুলিশ সুপার রওনক জাহানের কাছ থেকে ফুলেল বরণ শেষে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন উত্তীর্ণ প্রার্থীরা।
যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
তারা জানান, এই নিয়োগের প্রতিটি ধাপেই ছিল কঠোর যাচাই এবং শতভাগ নিরপেক্ষতা। যার ফলে তারা সবাই নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছেন। এমন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য তারা যশোর জেলা পুলিশের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এদিকে, নাম ঘোষণার পর যারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে পারেননি, সেই অকৃতকার্য প্রার্থীদের চোখে ছিল পানি। পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
উত্তীর্ণদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, আজ যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। আমরা চাই যোগ্য, সৎ ও মেধাবীরাই পুলিশের সদস্য হোক। আজকের এই ফলাফল তারই প্রমাণ।” তিনি উত্তীর্ণদের সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারীত্বের সঙ্গে দেশ সেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানান।
একই সাথে তিনি অকৃতকার্যদের উদ্দেশে বলেন, হেরে যাওয়া মানে থেমে যাওয়া নয়। পরবর্তীতে যেনো আরো ভালো করা যায়, সে বিষয়ে আরো বেশী প্রস্তুতি নিতে হবে।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাআলো/এস
