নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সাতটি গাড়িতে করে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য শহরের বিভিন্ন স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করে। যদিও এসব অভিযানে কাউকে আটক করা হয়নি বা কোনো অবৈধ কিছু উদ্ধারও করা যায়নি।
পুলিশের দাবি, তারা কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে অভিযান চালায়নি। অস্ত্র, মাদক ও মামলার পলাতক আসামিদের ধরতেই এ তৎপরতা চালানো হয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে বলছেন, দিনের বেলায় পুলিশি অভিযানে এলাকায় এক ধরনের উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন নেতার বাড়ির সামনে লোকজনের ভীড়ও দেখা যায়।
পুলিশ প্রথমে শহরের কাঁঠালতলায় অবস্থিত শাহীন চাকলাদারের পোড়া বাড়িতে যায়। এ বাড়িটি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের সময় আগুনে পুড়ে যায়। বর্তমানে সেখানে তিনি বা তার পরিবার বসবাস করেন না। সংস্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়।
পরে পুলিশ সদস্যরা পর্যায়ক্রমে যান পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলনের বাড়িতে, এরপর কদমতলার যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েলের বাড়ি এবং কাজীপাড়ায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়।
যুবলীগ নেতা জুয়েলের ভাবি জ্যোৎস্না বেগম বলেন, পুলিশ আমাদের বাসায় এসে জুয়েলের খোঁজ নেয়। আমরা জানাই, তিনি অনেক আগেই বাড়ি ছেড়েছেন। এরপর পুলিশ ফিরে যায়, কাউকে কিছু বলেনি।
অভিযানে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নেতাদের বাড়িতে মামলার আসামিরা থাকতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতেই তারা সেখানে গিয়েছেন। কাউকে না পেলেও এমন অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, এটি কোনো দলীয় অভিযান নয়। নিয়মিত মাদক ও অস্ত্রবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবেই পুলিশের এ তৎপরতা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকে বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলের ঝটিকা মিছিলের প্রেক্ষাপটে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
স্বাআলো/এস