সম্পাদকীয়: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হলেও জমি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় কেটে গেছে দুই যুগ। ২০২২ সালে জমির জটিলতা কেটে গেলেও ফায়ার স্টেশন কবে হবে সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর বৃহৎ উপজেলার মধ্যে একটি। ৪৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপজেলায় প্রায় ছয় লাখ লোকের বাস। উপজেলার বড় একটি অংশ দুর্গম হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নেই ব্যবস্থা। ২০০০ সালের দিকে এ উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও চিঠি চালাচালিতে কেটে যায় অর্ধযুগের বেশি সময়। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তখন থেকে শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের জটিলতা। জায়গা অধিগ্রহণের চেষ্টা করা হলেও সরকারি মূল্য কম হওয়ায় জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি। একবার সরকারি খাস জমিতে স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও জমি নিয়ে মামলার কারণে ব্যর্থ হয় কর্তৃপক্ষ।
আর এদিকে দৌলতপুর উপজেলায় আতঙ্কের নাম বলে পরিচিত হয়েছে অগ্নিকাণ্ড। প্রায় প্রতিদিন ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। পুড়ে ছাই হচ্ছে সম্পদ। নিঃস্ব হচ্ছে কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় প্রায় ১৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় দ্রুত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা, মিরপুর অথবা গাংনী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসকে আসতে হয় নেভাতে। আগুনে পুড়ে ছাই হয় ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ও সম্পদ।
২০২২ সালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া গ্রামের সমাজসেবী হাসিনা বানু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করতে ৮২ শতাংশ জমি দান করেন।
সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে কাজ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আলোর মুখ দেখেনি ফায়ার স্টেশন। স্থানীয়রা জানান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ না হওয়ার পেছনে জটিলতার পাশাপাশি নেতাদের ব্যর্থতাও কম দায়ী নয়।
স্বাআলো/এস