বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, যেসব এলাকায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
একইসঙ্গে সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সমুদ্র বন্দরের সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপটি মঙ্গলবার তৈরি হয়েছে এবং এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে, এই নিম্নচাপটি থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা অনেকটাই কম বলে জানিয়েছে অধিদফতর।
ঈদের আগেই সাগরে শক্তিশালী দুই ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে। এছাড়া রাঙামাটিতে ৮৫, চাঁদপুরে ৬১, ফরিদপুরে ৫৩, বান্দরবানে ৫২ এবং চট্টগ্রামে ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে অধিদফতর।
অন্যদিকে, সোমবার অধিদপ্তরের ‘ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায়’ বলা হয়, সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সৃষ্ট লঘুচাপ এবং সম্ভাব্য ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকা ও নদীবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
স্বাআলো/এস