রংপুর ব্যুরো: ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক পুনঃবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি রাজশাহী বিভাগকে ভেঙ্গে আট জেলা নিয়ে রংপুরকে দেশের সপ্তম বিভাগ হিসেবে অনুমোদন দেয়। বিভাগ হওয়ার পর কেটে গেছে ১৪ বছর।
এই দীর্ঘ সময়েও রংপুর মেডিকেল কলেজে মৃতদেহের ভিসেরা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে করে বিচার পেতে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে ভিসেরা রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মামলার তদন্ত কার্যক্রম।
অজ্ঞাত লাশের রক্তের নমুনা সংগ্রহে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হলেও রংপুরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। একারণে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, গত দুই মাসে রাজশাহী ফরেনসিক ল্যাবে ৬০-৭০টির মতো ভিসেরা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে সামান্য। বাকি রিপোর্ট কবে আসবে তা নির্ভর করছে রাজশাহী ফরেনসিক বিভাগের ওপর। মৃতদেহের ওইসব ভিসেরা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মামলার গতি আসছে না।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভিসেরার জন্য হত্যাসহ বিভিন্ন কারণে মৃতদেহের লিভার, দুইটি কিডনির অর্ধেক ইত্যাদি পাঠানো হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, একসময় ঢাকার মহাখালীতে যেতে হতো ভিসেরা পরীক্ষার জন্য। তবে গত কয়েক বছর থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজে আসা হত্যা, রহস্যজনক ও সন্দেহজনক মৃত ব্যক্তিদের ভিসেরা
রাজশাহীর ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সেখানের রিপোর্ট পেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ফলে মামলার তদন্ত কাজ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি বিচার শুরুর প্রক্রিয়াও দীর্ঘ হচ্ছে। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরের ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও ব্যতিক্রম রংপুর। এখানে বিভাগ হওয়ার ১৪ বছরে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা বলছেন, ভিসেরার বিষয়টি সিআইডি পুলিশ মনিটরিং করেন। তারাই ফরেনসিক ল্যাবে ভিসেরা নিয়ে পরীক্ষা করে আদালতে রিপোর্ট প্রদান করেন। কিন্তু রংপুরের পুলিশ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ডবমল চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্বাআলো/এস