যশোরের ঝিকরগাছার এক তরুণীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগ করে ১৬ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণী যশোর আদালতে মামলা করেছেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন।
আসামি বাবুর বাড়ি যশোর শহরের পুলিশ লাইন টালিখোলায়। ভুক্তভোগী ঝিকরগাছার মেয়ে।
তিনি মামলায় বলেছেন, বেকার থাকার কারণে অভিযুক্ত তাকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরির প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায় রাজি হলে গত ২৫ আগস্ট ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানে আত্মীয় স্বজনের বাসায় থেকে তার সাথে বিভিন্ন জায়গায় চাকরির সন্ধানে যান। এরই মধ্যে তাকে নিয়ে ২৭ আগস্ট একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। সেখানেই তাকে তাকে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে আবারো ধর্ষণ করে। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর বাদীকে যশোর সদরের আমবটতলা বাজারে নিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখে ইজিবাইক ভাড়া করার কথা বলে পালিয়ে যায় ধর্ষক। ২৯ সেপ্টেম্বর ওই তরুণী বাবুকে বাড়িতে ডেকে বিয়ের কথা বললে অস্বীকার করে। এই বিষয়ে লোকজনকে জানালে তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেন।
সরকার ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন পাস করে প্রশংসিত হয়েছে। এমন একটি কঠোর আইন দেশে জরুরী ছিলো। কারণ আমরা যেনো আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। গৃহবধূ থেকে স্কুলের ছাত্রী ও শিশুরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের হররোজের যে চিত্র তা তুলে ধরা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ কি। এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় আমাদের সমাজ অসুস্থ হয়ে গেছে। এটা সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। আমাদের সমাজের কোনো একটা জায়গায় রোগ হয়ে গেছে। অসুস্থ হয়ে গেছি আমরা সবাই। ভুক্তভোগীদের মর্মযাতনা উপলব্ধি করে এর বিরুদ্ধে আরো কি ব্যবস্থা নেয়া যায় সে চিন্তা সমাজ বিজ্ঞানী, সরকার, রাজনীতিক সমাজসেবী সবাইকে ভাবতে হবে। এভাবে কোনো সভ্য সমাজ চলতে পারে না। অব্যাহত এ অপরাধের কারণে একদিন দেখা যাবে এ জাতি অসভ্য জাতির কলঙ্ক তিলক ললাটে উঠেছে।
স্বাআলো/এসএস