মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেছেন, তিনি প্রায় ৪-৫ মাস ধরে আসলাম ব্রিকস ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করছেন এবং সেখানে স্বামী ও সন্তানসহ একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করেন। অভিযুক্ত আকরাম হোসেন এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত এবং অপর অভিযুক্ত রাব্বি হোসেন একই ভাটার ট্রাকে শ্রমিকের কাজ করেন। ভাটার কাজের সূত্র ধরেই তাদের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়।
অভিযোগে বলা হয়, শুক্রবার ভোররাত আনুমানিক চারটার দিকে কাজ শেষে ভাটার পুকুরে গোসল করতে যান ওই নারী। গোসল শেষে ভিজে কাপড়ে পাড়ে ওঠার সময় আকরাম হোসেন পেছন থেকে এসে ঝাপটে ধরে মুখ চেপে ধরেন এবং পাশের ইট তৈরির স্থানে (পটে) নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় রাব্বি হোসেন পাহারার মাধ্যমে তাকে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর অভিযুক্তরা নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি তার স্বামী ও ভাটা মালিককে জানান। তাদের সহায়তায় যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস কুমার পাল জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত আকরাম হোসেন ও রাব্বি হোসেনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
স্বাআলো/এস