কুড়িগ্রামে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম নামক এলাকায় শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে।
ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরী মা আমাতি রাণী শনিবার (১১ নভেম্বর) পূর্ব নাওডাঙ্গার সুধান চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রেমিক শান্ত চন্দ্র রায়সহ (২০) চার জনের নামে উলিপুর থানায় মামলা করেছেন।
আসামিরা হলেন, প্রেমিক পূর্ব নাওডাঙ্গার সুধান চন্দ্র রায়ের ছেলে শান্ত চন্দ্র রায় (২০), পশ্চিম নাওডাঙ্গার সাহেব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে নোমান (২২), নিজাই খামার মাঝাপাড়া গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান শুটকু (৪০) ও পূর্ব নাওডাঙ্গার বাকরেরহাট হিন্দুপাড়ার ফনি চন্দ্রের ছেলে চন্দন চন্দ্র (২০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর রংপুর পীরগাছার থেকে পরিবারসহ উলিপুরের ধামশ্রেণি ইউনিয়নের ফুটানিপাড়ায় আসে তারা। গত শুক্রবার দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। রাতে জানতে পারে থানায় পুলিশ হেফাজতে সে আছে।
পরে থানায় এসে কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর দুর্গাপূজার সময় শান্ত চন্দ্র রায়ের সাথে দেখার পরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। নানা বাড়িতে আসার পর তাকে বিয়ে করার কথা বলে ডাকলে গত ১০ নভেম্বর বিকেলে প্রেমিক শান্তর কাছে আসে কিশোরী। পৌর শহরের নাওডাঙ্গার বিলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করে তারা। এ সময় বাকি আসামিরা আশপাশে ছিলেন। পরে কিশোরীকে অটোরিকশায় তুলে দিয়ে অন্য একটি অটোতে বাজারের দিকে যায় শান্ত। পথে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে নোমানসহ বাকিরা ভয়ভীতি দেখিয়ে দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম এলাকায় সেচ পাম্পের ঘরে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা চলে যায়। পরে বাকরেরহাট বাজারে মেয়েটি কান্নাকাটি করলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে কিশোরীর মা থানায় অভিযোগ করেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
স্বাআলো/এসএ