জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গায়: তীব্র গরমে রিকশা ও ভ্যান চালকদের মধ্যে ছাতা, ক্যাপ, বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ।
বুধবার (১ মে) চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন গুরুপ্তপূর্ণ মোড়ে এসব সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর এক মাসের বেশি সময় ধরে এ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে তীব্র গরমে ত্রাহি অবস্থা জনজীবনে। আর বৃষ্টিহীন সময়ও পার করছে এ জেলার মানুষ। এ কারণে বাড়ছে গরমের তেজ। এমন অবস্থায় ঘরেও স্বস্তিতে থাকার সুযোগ মিলছে না। গ্রাম-শহরের কোথাও নেই স্বস্তি। ঠিক এসময় তৃষ্ণার্ত পথচারীদের লেবুর শরবত পান করিয়ে কিছুটা স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ।
এছাড়া স্যালাইন পানি, ক্যাপ ও ছোট ছাতা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার (এসপি) আরএম ফয়জুর রহমান পথচারী, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন। বুধবার (১ মে) চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ হাসান চত্ত্বরের পুলিশ বক্সের সামনে, শহরের কলেজ রোড, একাডেমি মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ পথচারীদের লেবুর শরবত, খাবার স্যালাইন ও বোতলজাত বিশুদ্ধ পানি পান করিয়ে প্রশংসিতও হয়েছেন পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান বলেন, কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম এবং ভূপ্রকৃতিসহ ছয়টি কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায় গরমের গরম আর শীতের সময় শীত বেশি। চুয়াডাঙ্গাতে এখন যে তাপপ্রবাহ অব্যাহত আছে। সেটি এখনো ৫ থেকে ৬ দিন থাকবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জেনেছি। তাই এ কার্যক্রম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু করলাম।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, পথচারীসহ সাধারণ মানুষের একটু স্বস্তি দেয়ার জন্য শহরের বড়বাজারের পুলিশ বক্সের সামনে ঠাণ্ডা কোমল শরবত, স্যালাইন পানি পান করানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ চলার পথে যদি ক্লান্তিবোধ করে তারা এই শরবত ও যারা একটু অসুস্থবোধ করবেন, তারা স্যালাইন পানি পান করতে পারবে। পাশাপাশি সুপেয় পানিও সরবরাহ করা হবে। জেলা পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আমাদের এসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও আমাদের একজন নায়েক কনস্টেবল ব্যাক্তি উদ্যোগেও এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এসময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী, ডিআইও-১ আবু জিহাদ খান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) ওলিউজ্জামান ওলিসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে কয়েক দিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১ মে) বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১২ শতাংশ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ জেলার ২৯ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেও কড়া রোদে অসহ্য গরম অনুভূত হচ্ছে। যারফলে সব শ্রেণি পেশার মানুষও অতিষ্ঠ।
স্বাআলো/এস