অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা।
আপিল বিভাগের রায়ের পর নিজেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বৈধ মেয়র দাবি করা ইশরাকের এই সমর্থকরা আজ মঙ্গলবার নগর ভবনের সামনে থেকে এই দাবি তোলেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল থেকেই ‘আমরা ঢাকাবাসী’ ব্যানারে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ইশরাকের সমর্থকরা। তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যানারে নাগরিক সেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন।
এর আগে সোমবার নগর ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জরুরি সেবা চালু রেখে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বৈধ মেয়র করা হয়েছে, কিন্তু সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি।
তিনি জানান, তাদের আন্দোলনের কারণে যেন জনগণের দুর্ভোগ না হয়, সেজন্য জরুরি সেবা অব্যাহত থাকবে এবং তারা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
তিন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য হবো: এনসিপি নেতা
ইশরাক আরো বলেন, ঈদের মধ্যে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। মশকনিধন যেন ঠিকঠাক হয়, সেজন্য দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
সেই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবারও নগর ভবনের সামনে ইশরাকের সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এদিন নগর ভবনের একটি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন ইশরাক হোসেন। ওই সভার ব্যানারে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এই ইস্যু নিয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইস্যুতে স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকা এবং পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দেয়ার কোনো আইনি সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, এভাবে ক্ষমতা প্রদর্শন করে নগর ভবন দখল করে দক্ষিণ ঢাকার দৈনন্দিন নাগরিক সেবায় বিঘ্ন ঘটানো দায়িত্বহীনতা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর।
তবে এসব সমালোচনার মুখেও ইশরাক সমর্থকরা দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে অনড় রয়েছেন এবং তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্বাআলো/এস
