ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহার করাসহ ১১ দফা দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন হাজারো ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক। এতে পল্টন-প্রেস ক্লাব ও হাইকোর্ট এলাকার সড়কে বন্ধ হয়ে গেছে যানচলাচল।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
জানা গেছে, তারা কামরাঙ্গীরচর, সেকশন, হাজারিবাগ ও সেকশন এলাকা থেকে এসেছেন। টিটাগাং রোড এলাকা থেকেও আরো রিকশা চালক আসছেন।
বিক্ষোভরত ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকরা বিশাল একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মাজার মোড় ও কদম ফোয়ারা হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসেছেন। প্রেস ক্লাবের সামনে একটি পিকাপ ভ্যানে লাল ব্যানারে সমাবেশ মঞ্চের আয়োজন করেছে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন। সেই মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে শনিবার (২৩ নভেম্বর) পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস ১১ দফা দাবি জানান। ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি ছাড়াও ইউনিয়নের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে- দেশের সড়ক উপযোগী নকশায় আধুনিকায়নসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের বিআরটিএ লাইসেন্স ও যৌক্তিক রুট পারমিট দিতে হবে; চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করতে হবে; ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে; শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সড়ক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা কমিটি গঠন করতে হবে; সড়কের লেন পদ্ধতি সচল ও সার্ভিস লেন নির্মাণ করতে হবে; আন্দোলনে আটক ও গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে গণপরিবহন ও শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে; জব্দ করা সব ব্যাটারিচালিত যানবাহন ও ব্যাটারি মালিকের কাছে হস্তান্তর ও নিলামকৃত ব্যাটারির মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে; চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করতে হবে; মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত যানবাহনের পুঁজিকে নিরাপদ করে পর্যায়ক্রমে প্যাডেলচালিত বাহনের শ্রম থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে এবং শ্রমিকদের ওপর সব জুলুম-নির্যাতন-চাঁদাবাজি-হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
স্বাআলো/এস