ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় যাওয়ার পথে মুন্সীগঞ্জের সিংপাড়া-নওয়াপাড়া এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় যশোর জেলার সাতজন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
এই দুর্ঘটনায় ১৪ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার (২৮ জুন) এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া ব্রিজ-২ এর কাছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
হামদান এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস চলন্ত একটি ট্রাকের পেছনে স্বজোরে ধাক্কা দিলে বাসটি ও ট্রাক দুইটাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে আঘাত হানে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর আরো পাঁচজন মারা যান, এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় সাতজনে।
নিহতরা হলেন- যশোর মধুগ্রাম আড়পাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে মুজাহিদ জিল্লুর রহমান (৬৫), ইসলামী আন্দোলন নোয়াপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি ইনসান আলীর ছেলে ডা. আব্দুল জালিল (৬৫), ডা. আব্দুল হালিম (৫৫), ইসলামী আন্দোলন যশোর জেলা দায়িত্বশীল মাওলানা মোস্তফা (৩৪), মুফতি আব্দুর রহমান (৫২), মুফতি আবু বকর (৪৩) এবং হাসিব (৩২)।
আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে।
এই দুর্ঘটনায় গোটা যশোর জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতরা প্রত্যেকেই ইসলামী আন্দোলনের স্থানীয় নেতা ও কর্মী ছিলেন, যারা ঢাকায় আয়োজিত সংগঠনের মহাসমাবেশে অংশ নিতে রাতভর ভ্রমণ করছিলেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় সংগঠনের নেতাকর্মী, পরিবার-পরিজন ও এলাকাবাসী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের মরদেহ দাফনের জন্য নিজ নিজ এলাকায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
স্বাআলো/এস