চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীসহ তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে দুইটি ভিন্ন স্থানে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের ছেলে।
প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের নওদাপাড়া এলাকায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যান পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই আরোহীর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- মোটরসাইকেল আরোহী রিয়াদ (১৩) এবং পলাশ (৩৫)। রিয়াদ হলেন বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের ছেলে। পলাশ ছিলেন চেয়ারম্যানের মুরগি খামারের কর্মী।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিয়াদ ও পলাশ কুষ্টিয়া থেকে কেনাকাটা সেরে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। পথে নওদাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি দ্রুতগতির পিকআপভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রিয়াদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় পলাশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
সাতক্ষীরায় পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ব্যবসায়ী নিহত
খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, নিহত দুজনের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাতক পিকআপভ্যানটি শনাক্ত বা আটক করা সম্ভব হয়নি।
একই রাতে আলমডাঙ্গা থানা ভবনের সামনে আরেকটি দুর্ঘটনায় হান্নান হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে হান্নান হোসেন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের পর মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে একটি ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানে করে উপজেলা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন। থানার সামনে একটি গতিরোধকের ওপর দিয়ে ভ্যানটি দ্রুতগতিতে ওঠার সময় তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
এই দুটি পৃথক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ দুটি ঘটনাই তদন্ত করছে।
স্বাআলো/এস