প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের অসংখ্য সংকটের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু একটি বড় ধরনের সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরেই এ সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
এবার এ সংকট সমাধানে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সদস্য হবে পূর্ব তিমুর। রোহিঙ্গা সংকট সমাধান কীভাবে করা যায়, সে বিষয়ে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে ঢাকায় চারদিনের সফরে আসলে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তাকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিমানবন্দরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হয়।
সফরের সময় প্রেসিডেন্ট হোর্তা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তিনি বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
প্রেসিডেন্ট হোর্তা ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএস) অডিটরিয়ামে ‘দ্যা চ্যালেঞ্জেস অফ পিস ইন দ্যা কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড-শীর্ষক থিমের ওপর বক্তব্য দেবেন। পরে তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন। একই দিন বিকেলে তিনি বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণদের উদ্দেশ্যে তার দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, তার নেতৃত্ব, দীর্ঘ সংগ্রামে জনগণের ভূমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী তিমুর লেস্তের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন।
স্বাআলো/এস