প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ, (দিনাজপুর): সূর্যের আলোর প্রখরতা, তীব্র দাবদাহে মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। হয়েছে আবহাওয়ার পালাবদল। তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউনিয়নের রহিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল ) ইস্তেসকার নামাজ অনুষ্টিত হয়।
বীরগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মিরাজ রহমান নামাজে ইমামতি করেন। এতে শতাধীক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। গত এক মাস আগেও বীরগঞ্জের যেখানে তাপমাত্রা ছিলো ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে।
মাস খানেক পরেই সেখানে বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৩ এর কোঁঠায়। তীব্র রোদ আর ভ্যাবসা গরমে অস্থির জন-জীবন। বৃষ্টি না হওয়া স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। এই গরমে দেখা দিয়েছে খড়তা। বৃষ্টি না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। অপর দিকে নষ্ট হচ্ছে গাছের ফল। কিছু অঞ্চলে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েল থেকে ঠিকমত উঠছে না পানি।
ভোগনগর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান রাজিউর রহমান রাজু বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদাহের কারনে জন-জীবন কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। পশু- পাখী, গাছ-পালা সহ সকলের জন্য অত্যন্ত পানি প্রয়োজন হওয়া আমরা এলাকার যুবকরা মিলে সালাতুর ইস্তেসকার নামাজের আয়োজন করি।
হাসিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেসকার নামাজ আদায় করেছি। অনাবৃষ্টির ফলে তীব্র গরমের কারণে শিশু, বৃদ্ধ, পশুপাখি সকলে কষ্টে জীবনযাপন করছে। রোজাদারদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। গরমের কারণে বাচ্চারা পড়ালেখায় মন বসাতে পারছে না। বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। হাফেজ জাহেদুল ইসলাম বলেন, রাসূল (সাঃ) অনাবৃষ্টি ও দূর্ভিক্ষের জন্য সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তেসকার সালাত আদায় করেছিলেন। নবী রাসূলের সুন্নাত কে আকড়ে ধরার জন্য বর্তমান বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে। আমরা খোলা মাঠে সালাতুল ইস্তেসকা নামাজ আদায় করেছি।
সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন ভোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ এলাকার সকল মুসল্লিগণ।
নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা কাঁদতে কাঁদতে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে বীরগঞ্জ উপজেলাসহ পুরো বাংলাদেশে বৃষ্টি বর্ষণের জন্য দোয়া করেন।
স্বাআলো/এস