বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলে কার রেসিং, বেপরোয়া গাড়ি চালনা, ভেতরে দাঁড়িয়ে ছবি তোলাসহ বিভিন্ন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা চলছে। তবে দায়ী কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা আইন অমান্য করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে সামনে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
টানেলের ভেতর রেস করা কয়েকটি গাড়ি শনাক্ত করেছে পুলিশ। যারা নিয়ম অমান্য করেছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
নদীর তলদেশে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু টানেল’
সাতটি গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করা হয় গত ২৮ অক্টোবর। এরপর ২৯ অক্টোবর টানেলটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু সেই দিন রাতেই একদল যুবক কার নিয়ে টানেলের ভেতর রেস করেন। টানেলে থাকা সিসিটিভিতে এটা ধরা পড়ে।
একই দিন আনোয়ারা টোল প্লাজা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে একটি প্রাডো জিপের।
টোল দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল পার হলেন প্রধানমন্ত্রী
টানেলের এক প্রান্ত পড়েছে কর্ণফুলী থানায়। অন্য প্রান্ত পড়েছে পতেঙ্গা থানায়। কার রেসের ঘটনায় কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহির হোসেন জানিয়েছেন, টানেলের ভেতর রেসের ঘটনায় কোনো মামলা করা হয়নি। টানেল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে মামলা করা হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) শাকিলা সুলতানা বলেন, রেসের ঘটনায় টানেল কর্তৃপক্ষ গাড়ির নম্বরগুলো যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ দেবে। এরপর সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করা হবে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে এখনো পর্যন্ত চারটি গাড়ি শনাক্ত করা হয়েছে। নম্বরগুলো দেখে বিআরটিএ থেকে গাড়ির মালিক খুঁজে বের করবো। মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এস