শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে ‘যৌন নির্যাতনের’ পর তার ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়েরই দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে সিলেট নগরী থেকে তাদের আটক করা হয় এবং বর্তমানে তারা পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদের আগে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থীকে সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। সেখানে তাকে অচেতন করে ‘যৌন নির্যাতন’ করা হয় এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয় বলে ওই শিক্ষার্থী পরবর্তীতে অভিযোগ করেছেন।
প্রাথমিক শিক্ষকদের ফেসবুক ব্যবহারের ওপর কঠোর নির্দেশনা
ওসি জিয়াউল হক জানান, অভিযুক্ত দুইজনের মধ্যে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এবং অন্যজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো এই ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। আটকের পর পুলিশ তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে আসে এবং পরে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনার পর তাদের থানায় নেয়া হয়।
ওসি আরো জানান, আটককৃত আদনান ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাঈল হোসেন বলেন, এই ঘটনা সম্পর্কিত অভিযোগ বৃহস্পতিবার আমরা পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে প্রক্টর অফিসে হাজির করা হয়।
তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আমরা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে পূর্ণ সহায়তা করবে।
স্বাআলো/এস
