যশোরের সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে এক গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ধারণ এবং সে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট শত্রুতার জেরে এক বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
১৭ অক্টোবর সংঘটিত এই হামলায় বাড়ির চারজন সদস্য রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধূর শাশুড়ি রঙ্গিলা বেগম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- বড় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মুরসালিন ওরফে সালমান, তার ভাই তানভীর হোসেন, তোতা, মাসুদ, ইমামুল ও লিয়ন।
মামলার এজাহারে রঙ্গিলা বেগম অভিযোগ করেছেন যে, আসামি মুরসালিন তার পুত্রবধূকে বিভিন্ন সময়ে উত্যক্ত করতেন এবং কুপ্রস্তাব দিতেন। তার পুত্রবধূ রাজি না হওয়ায় মুরসালিন প্রতিশোধমূলক ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে কয়েকদিন আগে মুরসালিন তার পুত্রবধূর গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা মুরসালিনের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন এবং পরে তাকে ফেরত দেন।
এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে গত ১৭ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে মুরসালিন ও তার সহযোগীরা চাইনিজ কুড়াল, শাবলসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রঙ্গিলা বেগমের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় রঙ্গিলা বেগমের বড় ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে রঙ্গিলা বেগম, তার জা বৃষ্টি খাতুন এবং স্বামী মোশারেফকেও মারধর করে আহত করা হয়। হামলার পর দুর্বৃত্তরা হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহতরা কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর রঙ্গিলা বেগম কোতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তানিম ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আসামিরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্বাআলো/এস
