সম্পাদকীয়: উৎপাদনের কাজে সুবিধার জন্য বিভিন্নস্থানে গৃহীত প্রতল্পগুলো নিয়মিত দেখভাল না হওয়ায় সেগুলো আর কল্যাণে আসছে না।
সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের অবহেলা এর জন্য দায়ী। বাগেরহাট ও যশোরের চৌগাছার দুইটি স্লুইসগেট তার সাক্ষী। এর মধ্যে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের সোলমবাড়ীয়া বিষখালী ও পানগুছি নদীর স্লুইসগেটের লিডগেট আট বছর ধরে অকেজো। এতে পানগুছি নদীর লবণ পানি বিষখালি খালে ঢুকে পড়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মোরেলগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়নের শত শত কৃষক।
কৃষকদের জমির পানি নিষ্কাশন ও সেচ সুবিধা দিতেই স্লুইসগেটটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। কিন্তু গেটটি এখন অকেজো।
কৃষকরা জানিয়েছেন, বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গেটটি মেরামত করা না হলে এই অঞ্চলের শত শত কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কথা হচ্ছে, কৃষকদের চাষাবাদের সুবিধার্থেই স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। যাতে করে কৃষকরা বারো মাস তাদের ক্ষেতে সেচ সুবিধা পান। কিন্তু আট বছর ধরে অকেজো। এটা কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও তারা কেন ব্যবস্থা নেয়নি, সে প্রশ্ন আজ সবার। দীর্ঘ আট বছর ধরে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় একটা স্লুইসগেট এভাবে অকেজো হয়ে পড়ে থাকবে, সেটা হতে পারে না।
সোলমবাড়ীয়া স্লুইসগেট ফাটল অস্থায়ীভিত্তিতে জিও ব্যাগের মাধ্যমে ডাম্পিং করে মেরামত করা হচ্ছে। আর লিড গেট ও বোর্ড পার্কগুলো মেরামতের জন্য ঢাকা থেকে কারিগরি প্রশিক্ষক এসে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।
শুধু মোরেলগঞ্জ ও যশোরের চৌগাছার স্লুইসগেট অকেজো হওয়ার জন্য কৃষকরা সেচ সুবিধা নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছে তা না। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকরাও এমন দুর্ভোগ পোহান, সেসব খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষকে নানা আশ্বাস দেন, পরে সময়মতো আর সেসব আশ্বাস বাস্তবায়ন করা হয় না বলেও অভিযোগের কথা শোনা যায়।
সোলমবাড়ীয়া স্লুইসগেট মেরামতের ক্ষেত্রে তেমনটি যাতে না ঘটে সেটা কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা আশা করবো।
সোলমবাড়ীয়া স্লুইসগেটটি দ্রুত টেকসইভাবে মেরামত করে দেয়া হবে, এটা আমরা আশা করবো। স্লুইসগেটটি মেরামত করে দিলে সেখানকার হাজার হাজার কৃষক দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন। আর স্লুইসগেটটি শুধু মেরামত করে দিলেই হবে না, মেরামতের পর সেটি যেনো টিকে থাকে তার জন্য সেটির রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্যও নিয়মিত নজরদারি করতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
স্বাআলো/এস