জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকে ‘জবিয়ান সমাবেশ’ এবং জুম্মার নামাজের পর গণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কাকরাইলে আন্দোলনস্থল থেকে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
জবির ‘কালো দিবস’ ঘোষণা, গণ-অনশনসহ নতুন কর্মসূচি
অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, আমরা সরকারের নিকট আমাদের অধিকার আদায়ের দাবি জানিয়েছিলাম। তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মেরেছে কিন্তু আমাদের অধিকারের বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি। এমনকি ৩৫ ঘণ্টা পার হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা আসেনি।
তিনি জানান, পুলিশ কর্তৃক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে ১৪ মে কে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দাবি আদায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর গণ অনশন শুরু করবে। এতে সকল সাবেক ও বর্তমান জবিয়ানদের অংশ নেয়ার আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে আন্দোলন স্থলেই শুরু হবে ‘জবিয়ান সমাবেশ’।
মার্চ টু যমুনা: টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে জবি শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা
অধ্যাপক রইছ উদ্দীন আরো বলেন, এই রাজপথেই আমরা কাল জুম্মার নামাজ আদায় করবো। আমি সকল সাবেক বর্তমান জবিয়ানদের আহ্বান জানাই এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার।
প্রসঙ্গত, তিন দফা দাবিতে গত বুধবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে লংমার্চ নিয়ে যাওয়ার সময় কাকরাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষার্থীরা। এ সময় ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অর্ধশত শিক্ষক–শিক্ষার্থী আহত হন।
স্বাআলো/এস