তীব্র গরমে দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। গরমে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি তাপদাহ। অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট যেনো বেশি। জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। গরম এলেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
এক রিকশা চালক বলেন, আর পারছি না। খুব গরম। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই একটু বিশ্রাম নিচ্ছি।
৭ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, অব্যাহত থাকতে পারে তাপপ্রবাহ
বুধবার (১৭ এপ্রিল) হাসপাতালে দেখা যায়, গরমে অনেক শিশু ডায়রিয়া, হাঁপানি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ভর্তির পাশাপাশি হাসপাতালের আউটডোরে রোগীর ভিড় দেখা গেছে।
এক সপ্তাহে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগী। এরইমধ্যে রোগীর চাপে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগীর জন্য বেড দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের বাইরে মেঝেতে থাকছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৪৭ জন গরমজনিত রোগী ভর্তি রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর, বিপাকে সাধারণ মানুষ
রামেক হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, এখনো হাসপাতালে রোগীর ভিড় সহনীয় পর্যায়ে আছে। হঠাৎ গরম পড়ায় বিভিন্ন রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। এখন গরম যতো বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও ততো বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে পানি ও তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসকের।
এদিকে বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে দিনের তাপমাত্রা আরো কিছুটা বেড়েছে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়ে দেশের ছয় জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে ঝড়-বৃষ্টির কারণে দুই-এক জায়গায় কিছুটা কমেছে তাপমাত্রা।
স্বাআলো/এস