সম্পাদকীয়: সাম্প্রতিক সময়ে আত্মহত্যা যেনো চালপানির মতো হয়ে গেছে। এমন কোনো দিন নেই যেদিন আত্মহত্যার খবর বাদে পত্রিকা প্রকাশ হচ্ছে। আর এ প্রবণতাটা কিশোর বয়সীদের মাঝে বেশি দেখা যাচ্ছে।
তাদের কেউ মোটরসাইকেল কিনে না দিলে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে এবং দেখা যাচ্ছে সে সত্যি সত্যি আত্মহত্যা করেছে। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে মোটরসাইকেল কিনে দিলেও সেই মোটরসাইকেল তার প্রাণনাশের কারণ হচ্ছে। আর ওই বয়সী মেয়েদের তো পান থেকে চুন খসার উপায় নেই।
আত্মহত্যা কোনোভাবেই ব্যক্তিগত নয়। হেমা আত্মহত্যা করে নিজেকে অপরাধী করে মরলো। আত্মহত্যা অপরাধ বলে প্রচলিত আইনে আত্মহত্যার চেষ্টাকারীকে সাজার মুখে পড়তে হয়। আর ইসলাম ধর্মে তো একটি বড় গোনাহ। এ ধর্মে বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে আত্মহত্যা করবে সে কবিরা গোনাহ অর্থাৎ বড় গোনাহের কাজ করবে।
তাহলে আমাদের বুঝতে বাদ থাকছে না যে কোনোক্রমেই আত্মহত্যা করা যাবে না। নানাভাবে নানা কৌশলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে আত্মহত্যা করার ভেতর কোনো কৃতিত্ব নেই। এ ধরাধামে বেঁচে থেকে ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিকে এগোতে হবে। মানুষ হয়ে যখন জন্ম নেয়া হয়েছে তখন চলার পথ কোথাও কুসুমাস্তীর্ণ কোথাও কন্টকিত। কন্টকিত পথ চলতে গিয়ে এই যে অবস্থা তাতে জীবনের স্বাদ আছে, বৈচিত্র্য আছে। এভাবে জীবন না হলে তো সে জীবন মূল্যহীন হয়ে যায়।
নিত্যদিনকার আত্মহত্যা প্রতিরোধে সামাজিকভাবে সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকারি ও বেসরকারিসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা উচিত।
স্বাআলো/এস