নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কিস্তির ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে আবু হানিফ (৩২) নামে এক রিকশাচালক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার নরত্তোমপুরের বাসিন্দা। তিনি দুই সন্তানের জনক। ৫ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ সুদে ব্যবসাটি খোলামেলাভাবেই চলছে। সুদে কারবারীর পাল্লায় পড়ে মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে কেউ লোন নিলে ওই জাল থেকে আর গ্রহীতারা বের হতে পারে না। কিন্তু দেখার বা বলার কেউ নেই। তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এমনই যাতাকলে নিষ্পিষ্ট হচ্ছে সেখানকার মানুষ। মানুষ অর্থনৈতিকভাবে এমনভাবে দায়গ্রস্ত হয়ে পড়েছে যে তাদের দিন চলছে না। এ অবস্থায় পথ খুঁজতে গিয়ে ঋণের জালে জড়াচ্ছে তারা। উদ্বেগজনক খবর হলো ঘরে-ঘরে, জনে-জনে আজ এই সুদে ব্যবসা চলছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের ৯০ ভাগের বেশি মানুষ এই ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। ‘জেনে শুনে বিষ পান করার’ মত উপায়হীন মানুষ এই ঋণের ফাঁদে পা দিচ্ছে।
আমরা যতদূর জানি ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ ঋণের ব্যবস্থা আছে। ঋণ সুবিধা হাতের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য এনজিওগুলো কাজ করছে। এরপরো কেনো মানুষ জেনেশুনে সুদে কারবারীদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছে। খবর নিয়ে জানা যায় তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে কাগজপত্রের কোনো ঝামেলা নেই। চাইলেই পাওয়া যায়। এ সুবিধার জন্য মানুষ ওদিকে ভেড়ে। এতে শেষমেষ তাদেরকে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে।
এসব সুদে ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া বা ব্যবস্থা থাকা উচিত। ফ্রি স্টাইলে এভাবে মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করার এ সর্বনাশা কাজ চলতে দেয়া যায় না।