সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল হামিদ বলেন, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির পূর্বে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে শুনানি না করে এজলাস ছাড়েন বিচারক হেমায়েত উদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাদী ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন শুনানি শুরু করতে চাইলে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন মামলাটি অস্বাভাবিকভাবে তারিখ পড়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মিস কেস করে আজ তারিখ পড়েছে। এটি অস্বাভাবিক ঘটনা। বাদী পক্ষের আইনজীবীরা এই মামলার জামিন শুনানিতে প্রস্তুত নন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। একপর্যায়ে আদালতের বিচারক এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। পরে আদালত বিকেল আড়াইটাই মামলার জামিন শুনানি সময় নির্ধারণ করে দেন। এরপর এ মামলার রায় হয়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে ওইদিন বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রাজজ জজ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে মিস কেস দাখিল করলে বুধবার মামলার জামিন শুনানি সময় নির্ধারণ করা হয়। শুনানি শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জামিন পেয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক বলেন, রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীরা বাদী পক্ষে অবস্থান গ্রহণ না করে আসামি পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। এতে আদালতের ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্ত হয়। এই মামলায় অস্বাভাবিকভাবে মিস কেস ও তারিখ পড়ে। বাদী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন শুনানির জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। তাই বাদী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন শুনানির বিরোধিতা করেছেন। পরে তুমুল হট্টগোলের মধ্যে আদালত এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। আজ আড়াইটায় জামিন শুনানির সময় নির্ধারণ করেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক শিক্ষার্থীর ভাই হাফিজ আলী বাদী হয়ে ৯৯ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ দ্রুত বিচার আদালতে মামলা করেন। মূলত এই মামলায় কারাগারে ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
স্বাআলো/এস