জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার: মিয়ানমারের রাখাইন চলছে সংঘাত, কক্সবাজার টেকনাফের সীমান্তে রাতভর একের পর এক ভেসে আসলো মর্টারশেলের বিকট শব্দ। গোলার শব্দের রাত জেগে সময় পার করেছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।
সোমবার (১৮ মার্চ) ও মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে টেকনাফের পৌরসভা, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তের এপারে ফায়ারের বিকট শব্দে কেঁপেছে। তবে সকাল থেকে এ পর্যন্ত কোনো শব্দ শোনা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘুমধুম সীমান্তে মর্টারশেল কুড়িয়ে আনলো শিশুরা
হোয়াইক্যং খারাংখালির বাসিন্দা রশিদ আমিন বলেন, ইফতার পরে রাতের খাওয়া শেষ করে ঘুমাতে গেলে মর্টারশেলের বিকট শব্দে আর ঘুম আসেনি। মিয়ানমার রাখাইন থেকে দফায় দফায় এ শব্দ এপারে ভেঁসে আসতে থাকে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বলেন, ফের নতুন করে মিয়ানমারের রাখাইনের ওপার থেকে বিকট শব্দ এপারে ভেসে আসছে বলে স্থানীয়রা বিষয়টি জানিয়েছেন। রাতভর দফায় দফায় বিকট শব্দে মানুষ রাত জেগে ছিলো। ভোর পর্যন্ত গোলার শব্দে ভেসে আসছে থাকে।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রাখাইনে সংঘাত চললেও এপারের সীমান্ত পরিস্থিতি মাঝখানে স্বাভাবিক ছিলো। তবে গত রাত থেকে আবারো হ্নীলার সীমান্তের এপারে ভেসে আসতে থাকে মর্টারশেলের বিকট শব্দ।
হ্নীলার সীমান্তে বসবাসকারী হুমায়ূন আহমেদ বলেন, রাতে খাওয়ার পরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখি রাত ঠিক ১২টার দিকে মর্টারশেলের বিকট শব্দে বাড়ি-ঘর কেঁপে উঠলো। তখন ঘুম ভেঙে গেলো। এরপর থেকে ওপার থেকে দফায় দফায় ভেসে আসতে থাকে মর্টার শেলে আওয়াজ। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত এ আওয়াজ আসতে থাকে।
‘মিয়ানমার থেকে কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢুকতে পারবে না’
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি (এএ) ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যেই সংঘাত চলমান রয়েছে। রাখাইনের অধিকাংশ গ্রাম ও বিজিপির চৌকি ও ক্যাম্প আরাকান আর্মি দখল করে নেন। দখলের পর বিজিপিসহ সেদেশের সেনাবাহিনী রাখাইনের অধিকাংশ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। এবার নতুন করে তারা রাখাইনের মংডু, বুচিডং টাউনশিপসহ বলি বাজারের একটি সেনা ঘাটি দখলে যুদ্ধ করছেন আরাকান আর্মির যুদ্ধরা।
অপরদিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী দখলকৃত গ্রাম ও বিজিপির ক্যাম্প পুনরুদ্ধার করা সহ তাদের সেনা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে রাখতে শক্ত অবস্থানে থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
স্বাআলো/এস