সারাদেশে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে। যা বছরের এই সময়ের জন্য স্বাভাবিক। প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ দিক থেকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হয় এবং ডিসেম্বরের শুরুতে তা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ভোরে কুয়াশা পড়া, তাপমাত্রা ধীরগতিতে কমে আসা এবং বাতাসে শুষ্কতা শীতের আগমনের প্রাথমিক লক্ষণ। সে অনুযায়ী এবারও সারাদেশে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে নদী অববাহিকা উত্তরবঙ্গ, সিলেট ও উপকূলীয় এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় এই দুই লক্ষণ (তাপমাত্রা কমা ও কুয়াশা পড়া) আরো প্রকট হতে পারে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেনের সই করা ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আর ভোরের দিকে দেশের নদী অববাহিকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। একই সঙ্গে বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার পর্যালোচনায় এই অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।
অপরদিকে ঢাকায় কবে থেকে শীত জেঁকে বসতে পারে, এমন প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ পারভিন জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ঢাকায় শীত পুরোপুরি জেঁকে বসতে পারে। এর আগ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই তাপমাত্রা কমে আসর কারণে শীত অনুভূত হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় শীত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অনুভূত হতে শুরু করবে এবং ডিসেম্বরের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমে মাঝামাঝি সময়ে পুরোপুরি জেঁকে বসতে পারে।
শীতের সম্ভাব্য সময়সীমার ব্যাপারে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাতে ঠান্ডা অনুভূত হবে এবং দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ঢাকায় শীতের প্রকৃত অনুভূতি শুরু হতে পারে। আর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্বাআলো/এস