জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: জেলায় টানা দুইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পর আজ শূণ্য দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম। তারপরও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে মানুষের জীবনযাত্রায় স্থবিরতা বিরাজ করছে।
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ থেকে রেহায় পেতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের তৃঞ্চা মেটাতে শরবত পান করাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। কর্মহীন মানুষের শুকনো খাবার চাহিদা পাঠানো হয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষ থেকে কর্মহীন মানুষের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
জেলার দর্শনা আবাসন থেকে রিকশা চালাতে আসা রিকশা চালক আব্দুল করিম বলেন, গরমে মানুষের চলাচল না থাকায় আয় হচ্ছে না। ঈদের আগে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় হতো এখন তা হচ্ছে না । এমনিতে রিকশা না চললেও মালিককে ১৭০ টাকা দিতে হয়। ১৭০ টাকা মালিকের দেয়ার পর সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে ৩০০ টাকা আয় করতে মুশকিল হয়ে পড়েছে।
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে জেলায় বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। সব বয়সীরা গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আর শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়ায়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে রোগী আসছে ৫০ থেকে ৬০ জন। তাদের বয়স সাতদিন থেকে দুই বছর পর্যন্ত।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, গত এক সপ্তাহে নিউমোনিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় তিন শতাধিক।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ১৯ শতাংশ। দুপুর ১২টায় ছিলো ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ২৩ শতাংশ । আর সকাল ৯টায় ছিল ছিলো ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ৬১ শতাংশ। সকালে বাতাসের আর্দ্রতা অর্থাৎ বাতাশে জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাসপা গরম অনুভূত হয়।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বলেন, অতি তীব্র গরমে কী পরিমান ফসল আক্রান্ত হয়েছে, সেটা নিরুপণের জন্য আমরা উপজেলা পর্যায়ে তথ্য চেয়েছি। তথ্য আসলে আক্রান্তের পরিমাণ জানা যাবে।
স্বাআলো/এস