নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শহরের বকচর এলাকায় রানী চানাচুর কোম্পানির ভেতর থেকে মিলন নামে এক কর্মচারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে।
নিহত মিলন মণিরামপুর উপজেলার ঝালঝাড়া খালকান্দা গ্রামের আসমত আলীর ছেলে।
তিনি রানী কোম্পানির মধ্যে গরুর খামারে চাকরি করতেন। সোমবার সকালে ফাক্টারির কর্মচারিরা তার সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের ভেতরে গিয়ে তার গলা কাটা মরাদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, বা কেনো তার কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ।
কোম্পানির তার সহকর্মী তরিকুল ইসলাম জানান, ওইদিন রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি এক নাইট গার্ডের সাথে ওয়াজ মাহফিল শুনেছেন। পরে তিনি কোম্পানিতে এসে ঘুমাতে যান। সকালে এসে তিনি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনকে দেখতে পান।
নিহতের বাবা আসমত জানান, মিলন সেখানে একাই থাকতেন। মিলনের স্ত্রী ও দুই ছেলে মণিরামপুরের বাড়িতে থাকতেন। সকালে খবর শুনে তারা এসেছেন। তার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা জানান, মিলন গত তিন বছর তাদের গরুর খামার দেখাশুনা করেন। কিন্তু আজও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। মিলন নিরীহ প্রকৃতির বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবুল আক্তার, পিবিআই কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা হত্যা রহস্য খুজতে কাজ শুরু করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুযেল ইমরান বলেন, মিলন হত্যার বিষয়ে এখনি কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে রহস্য উদঘাটনে পুলিশ শুরু কাজ করেছে।
স্বাআলো/এস