মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার টুপিপাড়া গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক আব্দুল মান্নান মোল্যা (৩৮) নামে এক যুবকের ঘাড়কাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের টুপিপাড়া মৎস্য হ্যাচারী সংলগ্ন ওয়াপদা খালেরপাড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক ওই গ্রামের হাফিজার মোল্যা ওরফে আলী হোসেন মোল্যার ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার টুপিপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মোল্যা (৩৮) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় যাত্রীবাহক হিসেবে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতো। ভাড়ার উদ্দেশ্যে ভোর সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হত এবং গভীররাত পর্যন্ত বাড়ির বাইরেই থাকত। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সে যথারীতি ভাড়ামারার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এবং ওইরাতে সে একবার বাড়িতেও এসেছিলো। পরে তার স্ত্রীকে বলে ওইরাতে মাগুরার যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। এরপর সে ওইরাতে আর বাড়ি ফেরেনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এলাকার লোকজন মাঠে যাওয়ার পথে বাড়ির অদূরেই টুপিপাড়া মৎস্য হ্যাচারী সংলগ্ন ওয়াপদা খালপাড়ের ঝোপের মধ্যে মান্নানের মরদেহ ও পাশেই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেরটি দেখতে পেয়ে পরিবার ও থানা পুলিশকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রক্তাক্ত ঘাড়কাটা মাপলার জড়ানো লাশটি উদ্ধার করেন। তবে, যেখানে লাশটি পড়েছিল সেখানে রক্তের তেমন আলামত ছিল না। যেকারণে পুলিশ ও এলাকাবাসীর ধারণা অন্য নির্জন জায়গায় নিয়ে তাকে সুপরিকল্পিতভাবে মাথার পিছনের নিচের দিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে ঘাড় কেটে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে কেন ?, কি কারণে ? কারা এমন নৃশংস হত্যা করেছে তা কেউই সঠিক করে বলতে পারছেন না। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের তত্বাধানে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রত্না বেগম জানান, তার স্বামী আব্দুল মান্নান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতো। তার সংসারে ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বুধবার সকালে তিনি বাসা থেকে বের হয়। রাতে একবার বাসায় এসেই, মাগুরা যাচ্ছি বলে চলে যায়। পরে রাতে আর বাসায় ফিরে আসেনি। তবে রাতে তাকে কে বা কারা হত্যা করে খালপাড়ে ফেলে রেখে যায়। তবে, যারা তার স্বামীকে হত্যা তাদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেনছেন।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, মান্নানকে সুপরিকল্পিতভাবে অন্যত্র হত্যা করে এইখানে লাশটি ফেলে রাখা হয়েছিল। লাশের ঘাড়ের পিছন পাশে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জবাই করার চিহ্ন রয়েছে। তবে তাকে কেন ? হত্যা করা হয়েছে এটা সঠিক তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারলেই সব জানা যাবে । তবে, বেশকিছু সূত্র নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমে কাজ শুরু করেছে। আশা করি দ্রুতই এর একটি ফল অবশ্যই পাওয়া যাবে ।
স্বাআলো/এস