ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের পাকা গ্রামে সাপের কামড়ে রাবেয়া খাতুন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অজ্ঞতায় ওঝার কাছে নিয়ে গিয়ে মূল্যবান সময় নষ্ট করার কারণেই এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে এবং কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বুধবার সকালে।
মৃত রাবেয়া খাতুন ওই গ্রামের আব্দুল্লাহ হোসেনের মেয়ে এবং সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ ঘরে থাকা অবস্থায় রাবেয়াকে একটি সাপে ছোবল দেয়। সাপে কামড়ানোর পর পরই পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত কোনো হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান।
ঝিনাইদহে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
ওঝার কাছে নেওয়ার পর রাবেয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পরিবারের সদস্যরা রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেফতাহুল জান্নাত জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে রাবেয়া আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু না জানিয়ে আবারও তাকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
চিকিৎসক মেফতাহুল জান্নাত বলেন, সকালে কিশোরী যখন অসুস্থ হচ্ছিলো, তখন তারা আমাদের না জানিয়েই হাসপাতাল থেকে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পথেই তার মৃত্যু হয়। পরে যখন তাকে হাসপাতালে ফেরত আনা হয়, তখন আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পাই।
সাপে কামড়ানোর পর দ্রুত আধুনিক চিকিৎসার শরণাপন্ন না হয়ে প্রচলিত ওঝার চিকিৎসায় নির্ভর করাই এই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাআলো/এস
