সম্পাদকীয়: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার স্থলবল্লা গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে মসজিদে মাইকিং করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন।
১২ জুন এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মনোয়ারা বেগম (৬০)। তার স্বামীর নাম শওকত আলী।
বিতর্কিত একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে আদালতে। এ জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দা, ফলা, টেঁটাসহ দেশী অস্ত্র নিয়ে তারা একে অপরের ওপর হামলা করে। এতে ঘটনাস্থলেই মনোয়ারা বেগম মারা যান।
দেশটা আইনের গণ্ডিতে বাধা। বেআইনী কিছু করার কোন অবকাশ নেই। তাই বলে বেআইনী কিছু হয় না তা নয়। এজন্য বিচার ব্যবস্থা আছে। আছে দোষীজনের সাজার ব্যবস্থা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় টাঙ্গাইলের স্থলবল্লা গ্রামের মানুষ এসব কথা জানে না অথবা আইন ও বিচারকে তারা পরোয়া করে না। তা না হলে মাইকিং করে সংঘর্ষের ঘোষণা দেয়া হয় কিভাবে? গ্রামটির দুইটি পক্ষ জমিজমার দ্ব›দ্ব এই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আধুনিক সভ্যতার যুগে এ বন্য আচরণ মেনে নেয়া যায় না। অশিক্ষিত বর্বর সমাজে এমন কাজ হতে পারে।
বিষয়টা এমন যে তারা ঘেষণা দিয়ে প্রমাণ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে রক্তপাত ও প্রাণহানি ঘটিয়ে প্রমাণ করতে চাইলো দেশে আইন বলতে কিছু নেই।
যারা এ ধরণের কাজ করতে পারে তাদের কাছে সভ্য সমাজের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই। তাদের এ দুর্বণীত আচরণের সমুচিত শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া না হলে এমন কাজের আষ্কারা পেয়ে সমাজ কলঙ্কিত হবে।
এ দেশের মানুষ আদিম যুগে বসবাস করে না। কাল বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব সংঘর্ষে লিপ্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যারা এ সংঘর্ষে নেতৃত্ব দিয়েছে বা ইন্ধন যুগিয়েছে তারা যাতে কোনক্রমেই রেহাই না পায় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
স্বাআলো/এস/বি