জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রাতা ২২ শতাংশ। দুপুর ১২টায় ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৩১ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।
জেলায় বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ২২ শতাংশ। এ অবস্থা আরো কিছুদিন চলতে পারে। এখনই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বইছে তাপপ্রবাহ, আরো বাড়তে পারে গরম
তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। তীব্র তাপমাত্রায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
ইজিবাইক চালক খোকন বলেন, অতিরিক্ত তাপদাহে মানুষের চলাচল কমে গেছে, ভাড়া কম হচ্ছে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, বিপর্যস্ত জনজীবন
ভ্যান চালক আবু বকর সিদ্দিক জানান, তীব্র গরমে ভ্যান চালানো দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে।
তিনি জানান, সরোজগঞ্জ,আলমডাঙ্গা ও ঘোলদাড়ী বাজারে ভূট্টার সময় ও ধানের সময় ভাড়ায় খাটি। বর্তমানে তীব্র গরমের কারণে একবার ছাড়া ভাড়া যেতে পাচ্ছি না।
এ দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামের কৃষক রাজু আহমেদ জানান, তীব্র তাপদাহে প্রতিদিন ধানে সেচ দিতে হচ্ছে। বিধায় অন্য কাজে সময় দিতে পাচ্ছি না।
তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, তীব্র তাপদাহে ধানে বিএলবি ও বিএলএস রোগ ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ৬০ গ্রাম থিওভিট, ৬০ গ্রাম পটাশ ও ২০ গ্রাম জিংক ১০ লিটার পানিতে সমভাবে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে।
স্বাআলো/এস