ঢাকা অফিস: সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে এখনো উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি।
গত ১২ মার্চ জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর বিভিন্নভাবে চেষ্টা ও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে সমাধান আসেনি। যদিও জাহাজের মালিকপক্ষ বলছে, ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্নভাবে জোর চেষ্টা চলছে।
এদিকে, জিম্মি শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছে বলে আমার শ্যালক জানিয়েছেন। তবে গত কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
এর আগে, গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিলো। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
স্বাআলো/এসআর