সম্পাদকীয়: আবারো মোটরসাইকেল দুর্ঘনার সেই দুঃসংবাদ বিআরটিএর এপ্রিল মাসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, এ মাসে সারাদেশে ২৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯১ জন।
মার্চ মাসে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত হয়। এ ছাড়া সারাদেশে ৬৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৩২ জন নিহত হয়েছেন।
সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, মোটরসাইকেল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।
দেশের সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার পর গঠিত কমিটিগুলো নানান সুপারিশ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছেন আদালতও; কিন্তু সড়কে নিশ্চিত করা যায়নি নিরাপত্তা।
দুর্ঘটনা কেন ঘটে বা এটা প্রতিরোধে করণীয় কী- সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, করণীয়গুলো যথাযথাভাবে পালন করা হচ্ছে কিনা।
সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে মূলত দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না বলে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানুষকে অতীতে অনেকবার পথে নামতে দেখা গেছে। সরকার দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ঘরে ফিরিয়েছে। বাস্তবে কি মানুষের দাবি পূরণ হয়েছে, সড়ক কি নিরাপদ হয়েছে? নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা অধরাই রয়ে গেছে।
সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গোটা পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।
স্বাআলো/এস