ঘুচে যাচ্ছে আশ্রয়হীন মানুষের ছিন্নমূলের গ্লানি

| May 22, 2024

সম্পাদকীয়: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন প্রকল্প ‘আশ্রয়ণ-২’ এর আওতায় পঞ্চম ধাপে আরো ২০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষ ঘর পাচ্ছে। আগামী জুন মাসেই তাদের ঘর বরাদ্দ দেয়া হতে পারে। ২১ মে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ৫২০ জন গৃহহীন ও ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পঞ্চম পর্যায়ের অবশিষ্ট অংশ আরো ২০ হাজার ভূমিহীনকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে।

দেশের ২৪ হাজার ৫২০টি ঠিকানাহীন মানুষের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, যা ছিলো তাদের কল্পনার বাইরে। তারা নিজস্ব জমিতে আধাপাকা ঘরে ওঠেছে পরিবার পরিজন নিয়ে। আরো ২০ হাজার গৃহহীন পরিবার ঘর পেতে যাচ্ছে। আর এমন ব্যবস্থাটি করে দিয়েছেন মানব দরদী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এ ¯গানকে সামনে নিয়ে গৃহহীনদের এ ঘর দেয়া হচ্ছে।

মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করলে সমাজ দ্রুত এগিয়ে যায়। সম্পদ অর্থ সুযোগ সুবিধা পরিবেশ সবই আছে। শুধু চোখ কান খোলা রেখে কাজ করলেই হয়। কিন্তু কেউ এ কথাটা বুঝতে চান না যে, যিনি জনগণের সেবার দায়িত্ব নিতে ভোট প্রার্থনা করে নির্বাচিত হন তিনি আর মানুষর কাছে যান না, মনে রাখেন না মানুষের কথা। আর অতি সাধারণ মানষের কথা মনে রাখার তো প্রশ্নই আসে না। দেশ পরিচালকের আসনটি কিন্তু নিজের আভিজাত্য ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য জন্য নয়। ওই আসনের সামনের মানুষগুলো তার মান। তারা আশরাফ- আতরাফ, নিরন্ন-বুভুক্ষ যাই হোক তাদের সম্মান দিতে হবে। মানব সেবার মাধ্যমে যে আভিজাত্য প্রতিষ্ঠিত হয় সেটিই প্রকৃত আভিজাত্য। প্রধানমন্ত্রী এ কথাটি বাস্তবভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তার মহানুভবতায় দেশের আশ্যয়হীন পরিবারগুলো দুই শতক জমিতে পাচ্ছেন মাথা গোজার ঠাঁই। ঠিকানাহীন মানুষকে নিলেন কোলে টেনে, ব্যবস্থা করলেন তাদের আবাসনের। এ এক অনন্য মহানুভবতা। সুবিধাভোগীরা এখন ছিন্নমূলের গ্লানিমুক্ত হয়ে পাবে সামাজিক মর্যাদা।

প্রধানমন্ত্রী এমনিভাবে দেশের অতি সাধারণ স্তরের মানুষের সাথে স্বজনের মতো ব্যবহার করেন। প্রজাতন্ত্রের মানুষের জন্য একজন প্রধানমন্ত্রীর যা করা উচিত জননেত্রী শেখ হাসিনা তাই করছেন। তার মহানুভবতায় দেশের অনেক অসহায় মানুষ পেয়েছে চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য সুবিধা।

স্বাআলো/এস