রংপুর ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রংপুর মহানগরী।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় হারাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় সাংবাদিকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৪ আগস্ট) নগরীর সিটি করপোরেশনের সামনে, সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি ও পায়রা চত্ত্বরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এর মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় হারা রয়েছেন। বাকি তিনজনের তাৎক্ষণিকভাবে নিহত দুইজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর রংপুরের প্রধান নগরীর সিটি করপোরেশনের সামনে, সুপার মার্কেট, জাহাজ কোম্পানি ও পায়রা চত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা দখলে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
স্বাআলো/এস