ঝিনাইদহে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৩৯১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক কাজকর্ম ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯০৭টি। এর মধ্যে শৈলকূপা উপজেলায় ৮৮টি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নেই। সদর উপজেলায় ৬৩, কালীগঞ্জে ৭০, মহেশপুরে ৮১, হরিণাকুণ্ডুতে ৫৪ ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৫৪টি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নেই। ফলে এসব বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, মাসের পর মাস তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অফিসের কাজে বাইরে গেলে অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিক্ষকরা যেমন সর্বোচ্চটা দিতে পারেন না, শিক্ষর্থীরাও সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনন্দ কিশোর সাহা বলেন, সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রমোশন দিয়ে প্রধান শিক্ষক করা হবে। এ জন্য কাগজপত্র ঢাকায় মহাপরিচালকের দফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। তারপর যাচাই-বাছাইয়ের পর পিএসসিতে যাবে। তারপর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
স্বাআলো/এস