নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের চৌগাছায় সোহানুর রহমান সাজিদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেদম মারপিট করে আহত করার অভিযোগে মাদরাসার শিক্ষক আক্তারুজ্জামানকে (৪৪) গ্রেফতারের পর জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোহানুর উপজেলার চৌগাছা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ কয়ারপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র এবং পার্শ্ববর্তী লস্কারপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।
শিক্ষক আক্তারুজ্জামান উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটলেও পরদিন বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে বললে ছেলেটির বাবা চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে পুলিশ ওই মাদরাসার সিসিটিভি ফুটেজে নির্যাতনের ভিডিও দেখে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষক আক্তারুজ্জামানকে গ্রেফতারর করে। এবং ইফতারির আগ দিয়ে যশোর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটিকেব মাদরাসা শিক্ষক একের পর এক বেত্রাঘাত করছেন। এমনকি লাথিও মারছেন। এ সময় শিশুটি বারবার শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে। তবুও ক্ষ্যান্ত হননি পাষণ্ড শিক্ষক। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী নিজের বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে শিক্ষককে গ্রেফতারের পর ৩১ সেকেন্ডের ও এক মিনিটের বেশি দুইটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায় নেটিজেনরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ভুক্তভোগী ১৩ বছর বয়সী সোহানুর রহমান সাজিদ জানান, মোবাইল ফোনে এসএমএস দেয়া নিয়ে তার ওপর ক্ষিপ্ত হন কয়রাপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসার শিক্ষক আখতারুজ্জামান। এতে তাকে বেধড়ক পেটান তিনি। পা ধরে বারবার ক্ষমা চাইলে বুক বরাবর লাথিও মারেন।
সাজিদের বাবা আলী আকবর বলেন, তার ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন শিক্ষক আখতারুজ্জামান। এতে তার শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষত হয়েছে।
এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার নির্যাতিত শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বাআলো/এস