খুলনার আলোচিত সন্ত্রাসী পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ ও তার স্ত্রী তিতলীকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
শনিবার গভীর রাতে তাদের আটক করা হয়। এ সময়ে তার কাছ থেকে দুইটি রামদা, দুইটি চাইনিজ কুড়াল ও বোমা সদৃশ্য পাঁচটি ককটেল উদ্ধর করা হয়েছে।
আটককৃত পলাশ নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন ২২নং গোবরচাকা এলাকার বাসিন্দা।
পলাশের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনী নগরীতে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ২৯ রাত ১২ টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা এলাকায় যৌথবাহিনী মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে খুলনার অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী মো: পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) এবং তার স্ত্রী পারভিন সুলতানা তিতলীকে (২৮) (সে সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সক্রিয় সদস্য) আটক করা হয়। পরবর্তীতে, পলাশের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বসতবাড়ি তল্লাশি করে বাড়ির উঠান হতে পাঁচটি ককটেল বোমা, দুইটি রামদা ও দুইটি চাইনিজ কুড়ালসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
পলাশের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গাসহ খুলনার বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। আটক হওয়ার পর তাদের সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সন্ত্রাসী পলাশকে আটকের খবর জনার পর এলাকার জনগণ নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং ওই আসামিদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায় তারা।
স্বাআলো/এস