সম্পাদকীয়: সারাদেশে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের জন্য সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ১৯ জুন সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ইদানীং যে দুর্ঘটনা ঘটছে সেখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে।
দুর্ঘটনার চিত্র দেখলে দেখা গেছে মোটরসাইকেলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এরপর ইজিবাইক। বেপরোয়া ড্রাইভিংও আছে। এটাকে বাদ দেয়ার উপায় নেই।
সারাদেশে লাখ লাখ তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেলের জন্য শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে।
সেজন্য নীতিমালাটা জরুরি। মানুষের জীবন আগে জীবিকা পরে। জীবিকা রক্ষা করতে গিয়ে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে।দুর্ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। পর্যালোচনায় দেখা গেছে ৬০ ভাগ চালক হেলমেট ব্যবহার করছে না। এছাড়া বেশিভাগ পথচারী রাস্তা পারাপারে সতর্ক অথবা সচেতন নয়। দুর্ঘনার এটাও একটি অন্যতম কারণ। এ ছাড়া ক্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের ড্যামকেয়ার মানসিকতা অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, সড়ক আইন মেনে না চলা এসব দুর্ঘটনার কারণ। দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, চালকের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্টকরণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশসগুলো কার্যকর করতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হোক।
স্বজন হারানোর বেদনা কতটুকু তা যারা এ ব্যথায় ব্যথিত তারা ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারবে না। সেতুমন্ত্রী সারাদেশে লাখ লাখ তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেলের জন্য শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। সেজন্য নীতিমালাটা জরুরি।
মানুষের জীবন আগে জীবিকা পরে। জীবিকা রক্ষা করতে গিয়ে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে। পরিবহনে এ কথাটা ইদানিং লেখা থাকছে সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কিন্তু ওই লেখা পর্যন্তই শেষ কেউ সে কথা মানছে না। মন্ত্রী নীতিমালা প্রণয়নের যে কথা বলেছেন তা অবিলম্বে করে বাস্তবায়ন করা হোক। শুধু নীতিমালা প্রণয়ন করলেই চলবে না। তা প্রয়োগে কঠোর হতে হবে। নতুবা পরিবহনে লেখা ওই বাণীর মতোই হবে।
স্বাআলোে/এস/বি