নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অভিযোগ, নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশো এবং পত্রপত্রিকায় কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন। ইসির ভাষ্যমতে, গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
বিষয়টি মোটেও কাম্য নয় বলেও মনে করে কমিশন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী আচরণবিধি সংক্রান্ত ধারাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী উল্লেখ করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারণার বিষয়ে আচরণ বিধিমালার নির্দেশনা রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রতিপালন করতে হবে। প্রার্থী দলের মনোনীত হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন।
বিধিমালা অনুযায়ী ২১ দিনের বেশি প্রচারণার সময় কোন দল বা প্রার্থী পাবে না উল্লেখ করে বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণ বিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ হবে একটি নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের সকলেই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আচরণবিধি অনুযায়ী ২১ দিন পূর্বে (ভোটগ্রহণের) কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর তারিখের পূর্বে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে এর পূর্বে কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারণারও সুযোগ নেই।
স্বাআলো/এসএ