সাতক্ষীরা উপকূলে সরাসরি ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আঘাত না হানলেও এর প্রভাবে উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন উপকূলবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, বেশিরভাগ স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেটি মেরামত করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরার ভাঙনকবলিত শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়গোয়ালিনী, পদ্মপুকুর মুন্সিগঞ্জ, আশাশুনির প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন আগে টানা ছয়দিনের বৃষ্টিতে উপকূলীয় এলাকার অনেক স্থানে বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেগুলো এখনো মেরামত করা হয়নি। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় হলে জোয়ারের পানির চাপ বাড়বে। এতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’, রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার নির্দেশ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে মোংলা বন্দরে বর্তমানে পাঁচ নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের যে পূর্বাভাস তাতে সাতক্ষীরার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। তারপরও সম্ভাব্য আঘাত মোকাবিলায় উপকূলবর্তী শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছে নৌযান।
স্বাআলো/এস