নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বন্ধু থেকে প্রেমিকা এবং ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিন্ন করতে না পেরে পরিকল্পনা মোতাবেক হত্যা করা হয় তৃতীয় লিঙ্গের মঙ্গলী খাতুনকে। এই হত্যাকাণ্ডের আসামি রমজান আলী বাবুকে আটক করেছে পুলিশ।
এসময় মঙ্গলীর বাড়ি থেকে চুরি করা সোনার গহনা ও মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৯ জুন বিকেলে যশোরের মুড়লী এলাকা থেকে আটকের পরদিন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বাবু।
রবিবার (৩০ জুন) জবানবন্দি শেষে আসামি বাবুকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল।
আসামি বাবু মণিরামপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আটক বাবু জানিয়েছেন, নিহত মঙ্গলী খাতুন ও আসামি বাবুর বাড়ি একই এলাকায়। সে কারণে তাদের মধ্যে পরিচয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হলে বাবুকে সব সময় কাছেই পেতে চান মঙ্গলী। কিন্তু বাবু তার কথায় রাজি না হলে মঙ্গলী তার উপর নানা ধরণের চাপ সৃষ্টি করে। ফলে মঙ্গলীকে খুন করার জন্য পরিকল্পনা করে বাবু। ঘটনার দিন ২৭ জুন বিকেলে বাবুর বাড়িতে মঙ্গলী এসে আবার ফিরে চলে যান। কিন্তু রাতে বাবুকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি মঙ্গলীর বাড়িতে থেকে গভীর রাতে বাবুর ঘরের মূল্যবান মালামাল চুরি করার জন্য খোঁজখবর করে। এরই মধ্যে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বাবুকে কাছে না পেয়ে মঙ্গলী তাকে ডাক দেন। আবার পাশে এসে শুয়ে পড়েন বাবু। কিন্তু এবার সুযোগ বুঝে মঙ্গলীকে গলা কেটে হত্যা করে ঘর থেকে টাকা, সোনা এবং রূপার গহনা নিয়ে পালিয়ে চলে যায় বাবু। পরদিনে সকালে খবর পেয়ে মঙ্গলীর ভাই মিজানুর রহমানসহ পরিবারের অন্যরা গিয়ে দেখে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই ঘটনায় মিজানুর রহমান মণিরামপুর থানায় হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করেন।
২৯ জুন বিকেলে যশোর মুড়লী এলাকা থেকে বাবুকে আটক করে পুলিশ।
এসময় বাবুর দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে মঙ্গলীর ব্যবহৃত সোনা ও রূপার গহনা এবং টাকা উদ্ধার করা হয়।
বাবুকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।
স্বাআলো/এস