যুব মহিলা লীগের ঢাকা উত্তরের সাবেক সভাপতি এবং এক সময়ের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার নবাবগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কী কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত জানা যায়নি।
সাবিনা আক্তার তুহিন রাজনীতিতে বেশ আলোচিত ছিলেন। তিনি ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে বিগত দিনের সংসদ সদস্য আসলামুল হককেই মনোনয়ন দেয়া হয়। এরপর তিনি সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার প্রত্যাশা করলেও সে সুযোগও পাননি। ধারণা করা হয়, এসব কারণে তিনি রাজনীতিতে কিছুটা হতাশ ছিলেন।
বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আটক
সম্প্রতি সাবিনা আক্তার তুহিন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে রাজনীতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সেই পোস্টে তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, মনোনয়ন না পাওয়া এবং নারী হিসেবে রাজনীতিতে প্রতিকূলতার কথা তুলে ধরেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, আমি রাজনীতি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে বাসায় থাকবো। আমি আমার বাচ্চাদের সময় দিতে পারি নাই পেটে বাচ্চা নিয়েও আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাকে প্রধানমন্ত্রী এমপি বানিয়েছিলেন এর জন্য ধন্যবাদ। আমি কেবল আমার সন্তানদের নিয়ে থাকতে চাই, তাই আমার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।
নিজের রাজনৈতিক হতাশা ও সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি আরো লেখেন, আমি বর্তমান রাজনীতিতে বেমানান, আমি এতো তাবেদারি করতে পারবো না। আমি রাজনীতির জন্য অনেক হিসেব করে পথ চলেছি। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনি। জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে সতর্ক পথ চলেছি, কখনো ভুল পথে পা ফেলিনি। তারপরও সবাই বলে আমি যোগ্য না, কারণ আমার কাছে প্রার্থী হওয়ার মতো অর্থ নেই । নারী হওয়া আজন্ম পাপ তার মাশুল গুণতে হয় প্রতিনিয়ত। নারী এমপি হলে তাদের কেবল নারী ইস্যুতে কাজ করার অধিকার আছে, মানুষ হিসেবে সকলের কাজ করার অধিকার নেই।
এই পোস্ট দেয়ার কিছুদিন পরই তাকে গ্রেফতার করা হলো। তার গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
স্বাআলো/এস