চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: জেলার চৌগাছায় ২০ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুইটি করিমন (স্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন) দুর্ঘটনায় দুই চালকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৩০মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টা এবং শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পৃথক দুইটি স্থানে এ দুইটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, বিশারত আলী (৫০) চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা মডেল থানার হরিশচন্দ্রপুর (নতুন গ্রাম) গ্রামের বাসিন্দা এবং হারুন অর রশীদ (৪২) চৌগাছার ফুলসারা ইউনিয়নের জামিরা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর (নতুনগ্রাম) থেকে চৌগাছায় ধানের খড় (গো-খাদ্য, বিচুলি) কিনতে একটি করিমনে তিন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক বিশারত আলী। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মহেশপুর-চৌগাছা সড়কের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের ফাঁসতলা নামক স্থানে পৌছালে একটি মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে গাড়িতে হার্ড ব্রেক করেন চালক। এতে করিমনটি (স্যালো মেশিনের ইঞ্জিনচালিত যান) রাস্তার পাশে উল্টে গেলে চালক বিশারত আলী (৫০) ও যাত্রী আশিদুল ইসলাম (১৯) করিমনের নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হন। অন্য দুই যাত্রী ছিটকে রাস্তার পাশের ফসলের ক্ষেতে পড়েন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশারত আলীকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশিদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
অন্যদিকে শুক্রবার (২৯মার্চ) হারুন নিজের করিমনে গম বোঝাই করে গ্রাম থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ যাচ্ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পথিমধ্যে চৌগাছা-আড়পাড়া ভায়া কাষ্টভাঙ্গা সড়কের আড়পাড়া ব্রিজের কাছে পৌছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাড়িটি উল্টে যায়। এতে চালক হারুন গম বোঝাই গাড়িটির নিচে চাপা পড়ে মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী দুইটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয় ঘটনায় থানায় পৃথক অপমৃত্যু হয়েছে।
স্বাআলো/এসআর