জাতীয়

সারাদেশে বিনামূল্যে টাইফয়েড টিকা কার্যক্রম শুরু ১ সেপ্টেম্বর

ঢাকা অফিস ঢাকা অফিস | August 11, 2025

টাইফয়েড রোগের প্রকোপ কমাতে দেশব্যাপী এক বড় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) টিকাদান কার্যক্রম।

এই কর্মসূচির অধীনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় পাঁচ কোটি শিশুকে এক ডোজের টাইফয়েড টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবুল ফজল মো. শাহাবুদ্দিন খান সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ডা. শাহাবুদ্দিন খান জানান, টিকাদান কর্মসূচিটি দুটি ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপে, সেপ্টেম্বরের প্রথম ১০ কর্মদিবসে বিভিন্ন স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। এরপর, পরবর্তী আট দিন ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে স্কুলবহির্ভূত বা ক্যাম্পে অনুপস্থিত শিশুদের টিকা নেয়ার সুযোগ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, “যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারাও এই টিকা থেকে বঞ্চিত হবে না। এক্ষেত্রে শিশুর বাবা-মায়ের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে নিবন্ধন করা যাবে এবং টিকা গ্রহণের তথ্য তাদের একটি কার্ডে লিখে দেওয়া হবে।”

ইপিআই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই এক ডোজের ইনজেকটেবল টিকা শিশুদের ৩ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত টাইফয়েড জ্বর থেকে সুরক্ষা দেবে। গ্যাভি, দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের (Gavi, the Vaccine Alliance) সহায়তায় এই ভ্যাকসিনগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়া

ইতোমধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে টিকা নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা টিকাদান শুরুর আগ পর্যন্ত চলবে। নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইট https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv- এ প্রবেশ করতে হবে। যাদের জন্ম নিবন্ধন নম্বর আছে, তারা সেটি ব্যবহার করে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে।

টাইফয়েড কী?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর মতে, টাইফয়েড জ্বর ‘স্যালমোনেলা টাইফি’ নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রমণ, যা সাধারণত দূষিত পানি ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এর প্রধান উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, মাথাব্যথা, বমিভাব, ক্ষুধামন্দা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণগুলো অন্যান্য সাধারণ জ্বরের মতো হওয়ায় রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব হতে পারে, যা মারাত্মক জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। এই টিকাদান কর্মসূচি দেশে টাইফয়েডের কারণে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাআলো/এস

Shadhin Alo