ঢাকা অফিস: আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রবীণ প্রার্থীরা কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে পারেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবার দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সুযোগে দলের একসময়ের ত্যাগী ছাত্রনেতারা নির্বাচনের মাঠ কাঁপানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও সাবেক ছাত্রনেতাদের অংশগ্রহণে জমজমাট নির্বাচনের আভাস পায়া যাচ্ছে।
শুধু তাই নয়, বয়সে তরুণ এবং ভোটের মাঠে নতুন মুখগুলো প্রবীণ প্রার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকেও কঠিন পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেন। দেশের বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এরই মধ্যে জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দিয়ে রাখছেন সম্ভাব্য নবীন প্রার্থীরা। এতে তাঁরা প্রবীণ প্রার্থীদের নির্বাচনী সরল অঙ্কে গরমিল পাকাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, এবার চারটি ধাপে সমগ্র বাংলাদেশে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মে, তৃতীয় ধাপে ২৫ মে এবং চতুর্থ ও শেষ ধাপে ১ জুন। তবে প্রথম থেকে শেষ ধাপের ভোটগ্রহণের সময়ের ব্যবধান খুব বেশি নয়। ফলে সারা দেশেই নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তরুণদের নির্বাচনমুখী মনোভাবের কারণে পরিবেশ জমে উঠেছে।
কোথাও কোথাও বিপরীত চিত্রও দেখা যাচ্ছে। কয়েকটি উপজেলায় তরুণরা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করলেও প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। প্রার্থী হয়ার ক্ষেত্রে দল থেকে কোনো আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা ভিন্নমত জারি করে রেখেছেন। তাঁদের পছন্দের প্রার্থীরাই শেষ পর্যন্ত অঘোষিতভাবে দলীয় প্রার্থী হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণে দলীয়ভাবে কোণঠাসা হওয়ার ভয়ে অনেক তরুণ প্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্যের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছেন।
মাঠের কর্মীরা বলছেন, তাঁরা শুধু অভিজ্ঞতায় মজে থাকতে চান না, তাঁরা সব সময় পরিবর্তন এবং তরুণ ও স্বচ্ছ নেতৃত্বের পক্ষে। সংসদ সদস্য নির্বাচনের পর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে জয়ী জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মাঠকর্মীদের সংযোগ থাকে সারা বছর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ এবার জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের লক্ষ্যে কাউকে নৌকা প্রতীক দিচ্ছে না। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে থাকা নেতারাও। প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগদলীয় পাঁচ থেকে সাতজন করে প্রার্থী মাঠ পর্যায়ে সক্রিয়।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যেহেতু নির্বাচনে দলের প্রার্থিতা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, সে কারণে প্রবীণদের সঙ্গে নবীনদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা আটকানোর উপায় নেই। নেতৃত্ব আসলে বয়স দিয়ে বোঝা যায় না। যুক্তরাষ্ট্রে অনেকে চল্লিশের কোঠায় রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। ফলে কে জনপ্রতিনিধি হবেন, সেটা তাঁর যোগ্যতা ও পারিপার্শ্বিক নানা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
এদিকে তরুণদের নির্বাচনমুখী মনোভাবকে স্বাগত জানাতে চান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘তরুণরা নেতৃত্বে আসতে চাইবে, এটা স্বাভাবিক। তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ দেশের জন্য মঙ্গলজনক। দেশে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। তরুণরা জনসংযোগের মধ্য দিয়ে মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটাকে স্বাগত জানাই।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে দলের প্রার্থী দেয়া হবে না। ফলে নবীন-প্রবীণ সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে ভোটের পরিবেশ যেন সুষ্ঠু থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রবীণ নেতা বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার বলেন, ‘এবার নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে ভোট হবে বলে মনে হচ্ছে। আমি নিজেও একজন প্রবীণ। এবারো ভোট করবো। আবার অনেক নবীন নেতারাও এবার ভোট করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও একই পরিবেশ বিরাজ করছে।’
তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুত্ফর রশিদ ময়না বলেন, ‘আমি এবারো নির্বাচন করতে চাই। অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে অনেক নবীন নেতাও রয়েছেন।’
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে মাঠে নেমে গণসংযোগ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান রনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জসিম হলের সাবেক সভাপতি। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে জোরালো প্রার্থী হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুনার রশীদ হিরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর ফারুক আহমেদ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জরুল ইসলাম তপন প্রমুখ। ধনবাড়ীতে সব মিলিয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ।
এদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে গণসংযোগ করছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ রাজিব। তিনি সদর উপজেলায় বিভিন্ন সভা সমাবেশেও অংশগ্রহণ করছেন। এখানে ভাইস চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস সেলিম শিকদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ সরকার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে কৃষক লীগের সহসভাপতি সোয়েব রানার নাম শোনা যাচ্ছে।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদের লড়াই গতানুগতিক হতে পারে। তবে মূল লড়াইটা জমতে পারে ভাইস চেয়ারম্যান পদ নিয়ে। এই পদে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মিশেলে নবীন ও প্রবীণের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। প্রার্থীরা এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে নেমেছেন। নাঙ্গলকোট উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সুমন। তিনি ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক। ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুমনের সঙ্গে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তৌহিদুর রহমান মজুমদার এবং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান। ক্ষমতাসীন দলের প্রধান তিন সংগঠনের নেতৃস্থানীয় প্রার্থী থাকায় উপজেলাটিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তুমুল লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা নিয়ে সাবেক থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুর রাজ্জাক সুমন বলেন, ‘আসছে উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হবো। কারণ ছাত্রলীগের রাজনীতি করা অবস্থায় আমি তৃণমূল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে শক্তিশালী করতে কাজ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় তৃণমূল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।’
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। এখানে দলীয় বা অন্য যে প্রার্থীই থাকুক না কেনো নির্বাচনে আমি শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। এবারের নির্বাচনে নাঙ্গলকোট উপজেলায় জনগণ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অপরাধ, শোষণ, নিপীড়নের বিপক্ষে গিয়ে রায় দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবে।’
চান্দিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চতুর্থ ধাপে ১ জুন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ উপজেলায়ও নবীন ও প্রবীণের তুমুল লড়াই হতে পারে। এ উপজেলায় সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী মাঠে আছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রবীণ প্রার্থীর সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী। তিনি ২০১৪ সাল থেকে টানা দুইবার চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনে লড়বেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুজিবুর রহমান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাবেক আহ্বায়ক প্রার্থী মোসলেহ উদ্দিন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে টানা দুইবার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন সিআইপি প্রার্থী হতে পারেন।
এদিকে প্রবীণদের সঙ্গে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য শামীম হোসেন। তিনি সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্তর আস্থাভাজনও। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় আছেন ৪০ বছর বয়সী শামীম।
চান্দিনা উপজেলার সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম সুমন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড কাউন্সিল সভাপতি আল-আমিন সরকার, উপজেলার কম্পিউটার উদ্যোক্তা ফারুক হোসেন, উপজেলা কৃষকলীগ সহসভাপতি এরশাদ হোসেন। এর আগে তাঁরা কেউ কখনো কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি বা সম্ভাব্য প্রার্থীও হননি। তাঁদের মধ্যে নজরুল ইসলাম সুমন ও আল-আমিন সরকার বয়সেও তরুণ। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জমে উঠতে পারে প্রবীণ ও নবীনের লড়াই।
মুরাদনগরে চেয়ারম্যান পদে তুমুল লড়াইয়ের আভাস মিলছে। কারণ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে এবারো উপজেলা নির্বাচনে নবীন প্রার্থী। তাঁর সঙ্গে এবার নির্বাচনে লড়বেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ সাবেক ১৩ নম্বর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুস্তাক আহমেদ মাসুদ। এ ছাড়া ব্যবসায়ী আবুল আয়েজ খানও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়বেন।
অন্যদিকে পাবনা সদর উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের (৬৫) বিপরীতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন পাবনা সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক। এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি রুমন হোসেনও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে আলোচনায় আছে। যদি এই দুইজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের সরল অঙ্কে গরমিল দেখা দিতে পারে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ষাটোর্ধ্ব রেজাউল করিম মন্টুর বিপরীতে নির্বাচন করবেন বগুড়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল মান্নানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল।
রংপুরের পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ও পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক এমপি মজাহারুল হক প্রধানের ছেলে শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ।
পিরোজপুর সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবুর রহমান খালেকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন সদর উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ভিপি, ছাত্রলীগ নেতা এস এম বায়েজিদ হোসেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ি জেলা সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিকও আলোচনায় রয়েছেন।
ইন্দুরকানী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান বলেন, নির্বাচন উৎসবমুখর হবে, যেহেতু নৌকা প্রতীক নেই তাই দল থেকেই একাধিক প্রার্থী অংশগ্রহণ করবেন। তরুণরা আসবে, জনপ্রিয়তা থাকলে জয়ী হবে। এটাই তো গণতন্ত্র।
তরুণ নেতা এস এম বায়েজিদ হোসেন বলেন, ‘বিপুল ভোটে আমি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলাম। এত দিন জনগণের জন্য ব্যাপক কাজ করেছি। জনগণ চাইছে বলেই আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইনশাআল্লাহ জয়ী হবো।’
স্বাআলো/এসআর