জেলা প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: এবারের নির্বাচন প্রভাবমুক্ত রাখতে সরকার এবং রাজনৈতিক দল থেকে পরিস্কার বার্তা রয়েছে। তবুও দলীয় লোকজন ও স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর কেউ কেউ সে নির্দেশনা কি মানছে? কেমন করে একটি দলের সভানেত্রী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমাণ্য করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।
এমন মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব:)।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) চার জেলার সমন্বয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের প্রভাবমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনার কি ব্যবস্থা নিতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নিজেদের সম্মান নিজেদের রক্ষা করতে হবে। দলের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা উচিত। তবে ভোটররা প্রভাবিত না হলে কোনো প্রভাবই কাজে লাগবে না। তবে ভোটারদের বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল হবে।
উপজেলা নির্বাচনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ
প্রার্থীদের ব্যাপারে ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, আমাদের কাছে প্রার্থীর মধ্যে কোনো হাই ভোল্টেজ কিংবা লো-ভোল্টেজ নেই। ভোটের দিন অনাকাঙ্খিত ঘটনার চেষ্টা করা হলে তা নির্মূল করা হবে। কোনো ভোল্টেজ দিয়ে কাজ হবে না। জনগণকে ভালোবাসতে হবে তাদের কাছে ভোট চাইতে হবে, তবেই ভোট পাওয়া যাবে। ভোল্টেজ মেশিনে লাগান। সাংবাদিকরা বিনা বাধায় ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। এতে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচনী আচরণবিধি ও মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজীম উল আহসান, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা ও পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিবসহ চার জেলার নির্বাচন গ্রহনকারী কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাআলো/এস