বর্তমানে দেশের মানুষের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩৬৫ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪০ হাজার ১৫০ টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। এমন তথ্য জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এ দিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণের স্থিতির পরিমাণ ৬২ হাজার ৩১২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (সাময়িক), যার মধ্যে বহুপাক্ষিক ৩৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দ্বিপাক্ষিক ২৫ হাজার ৫৩১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে সংগৃহীত তথ্য মোতাবেক মোট জনসংখ্যা ১৭০ দশমিক ৭৯ মিলিয়নের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ৩৬৪ দশমিক ৮৫ মার্কিন ডলার।
মুস্তফা কামালের দেয়া তথ্য মতে, ঋণ প্রদানের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ সংস্থাটি থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৫৩ কোটি ৬৮ লাখ ডলার ঋণ নিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে এক হাজার ৪১১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার পেয়েছে। দেশ হিসেবে রাশিয়া থেকে সর্বোচ্চ ৫৮৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। এ ঋণের প্রায় পুরোটাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নেয়া। এরপর আছে চীন। দেশটি থেকে ৫৩৭ কোটি ৪১ লাখ ডলার, এআইআইবি ১৫০ কোটি ৪১ লাখ, ভারত থেকে ১২৯ কোটি ৯৩ লাখ ডলারসহ আরো কয়েকটি দেশ ও সংস্থা থেকে ঋণ নেয় বাংলাদেশ।
স্বাআলো/এসএস